ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় গরু চুরির অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাসহ চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করা হয়। পরে তিনজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) গরুর মালিক মো. ইয়াছিনের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের আছলামপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড থেকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, মো. ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন এবং অপরজন মো. ইসমাইল। এছাড়া মো. দুলাল নামের আরেকজন চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা সাবাই আছালাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
গরুর মালিক আছলামপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ইয়াছিন জানান, তিনি একটি গরু ক্রয় করে স্থানীয় আবুল কাশেম নামের একজনের কাছে বর্গা হিসেবে লালন-পালন করতে দেন। গত ২২দিন আগে গরুটি চুরি হয়ে যায়। এরপর থেকে গরু খোঁজার জন্য তিনি নানা জায়গা গিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জানতে পারেন তার গরুটি ৭নম্বর ওয়ার্ডের মো. আলীর বাড়িতে আছে।
খবর পেয়ে তিনি মো. আলীর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় গরুটি সে লালমোহনের রায়চাঁদ বাজার থেকে কিনে এনেছেন। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি গরুটি শনাক্ত করলে এক পর্যায়ে আলী স্বীকার করেন সে গরুটি মো. জাকিরের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকায় কিনেছেন। পরে জাকিরকে আনা হলে সে ইসমাইল, দুলাল ও আলমগীরের নাম বলেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা জাকির, মো. আলী, ইসলামাইল ও দুলালকে গণপিটুনি দিলে তারা গরু চুরির কথা স্বীকার করেন।
পরে তাদের চারজনকে চরফ্যাশন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে চুরির সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় মামলা করেন গরুর মালিক মো. ইয়াছিন। পরে শুক্রবার সকালে জাকির, আলী ও ইসমাইলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, গরুর মালিক ইয়াছিনের মামলার আলোকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।