• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩০, ১ শাওয়াল ১৪৪৬

গণপিটুনিতে নিহত দুজনের পরিচয় মিলল


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম
গণপিটুনিতে নিহত দুজনের পরিচয় মিলল
নিহত নেজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ ছালেক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ ছালেক (৩৫) দুজনই জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। স্থানীয় জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেছেন, সালিস বৈঠকের নামে ডেকে নিয়ে তাদের দুজন কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

সোমবার রাতে সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের চূড়ামণি গ্রামের ছনখোলা এলাকায় গণপিটুনিতে দুজন নিহত হন। এ সময় গোলাগুলিতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চার-পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেজাম, ছালেকসহ অন্তত ১২ জন যুবক ছনখোলা এলাকায় যান। তারা ওই গ্রামের দোকানের সামনে অটোরিকশা থেকে নামেন।

তখন মসজিদের মাইক থেকে ‘এলাকায় ডাকাত এসেছে’ ঘোষণা শুনে গ্রামের লোকজন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। অনেকে তারাবির নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়। তারা নেজামদের ঘিরে ফেললে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। গুলিবর্ষণের মধ্যেই অটোরিকশায় করে অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গ্রামবাসী নেজাম ও ছালেককে ধরে বেধড়ক পেটায়।

এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জামায়াতের সক্রিয় কর্মী নিহত নেজাম উদ্দিন আওয়ামী লীগের আমলে দীর্ঘ সময় এলাকাছাড়া ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি এলাকায় ফেরেন।

এরপর এলাকায় নেজামের পক্ষে-বিপক্ষে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। তারা একাধিকবার সংঘাতেও জড়িয়েছে। এ ছাড়া নেজাম ও তার পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠতে থাকে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ এবং এলাকাভিত্তিক অপরাধ ও আধিপত্যের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। 
জামায়াতে ইসলামীর সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি জায়েদ হোছেন বলেন, নিহতরা জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সালিস বৈঠকের কথা বলে তাদের এওচিয়া ইউনিয়নে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দুজনের মাথায় পর্যায়ক্রমে আঘাত করা হয়।

সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে হওয়া একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলা বিচারাধীন আর কিছু মামলা তদন্তাধীন। 

Link copied!