মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমেছিলেন ৩০-৩৫ জন। গোসল করতে নেমে তিনজন নিখোঁজ হন। এর মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত আরও একজনকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
নিহতরা হলেন, রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদ রাজু ও ব্যাংকার জুয়েল রানা। নিখোঁজ রয়েছে নিহত রাজুর ছেলে রিয়াদ রামিন আরিদ।
এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারসংলগ্ন পদ্মার শাখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে জুয়েল ও রাজুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে রিয়াদের খোঁজে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দল ও নৌ পুলিশ।
জানা গেছে, ঈদে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে উপজেলার বেশনাল গ্রামে আত্মীয় ইকবাল মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তারা। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন মিলে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে পদ্মা নদীতে ঘুরতে বের হয়ে। এ সময় ট্রলার থামিয়ে কয়েকজন গোসল করতে নামে। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকার কারণে অনেকেই তীরে আসতে পারলেও নিখোঁজ তিনজন নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর ও টংগিবাড়ী উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এবং নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে চেষ্টা চালায়।
গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন টংগিবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল।
মোস্তফা কামাল বলেন, “খবর পেয়ে আমাদের দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাই। দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন তাদের শনাক্ত করেছে। অপর নিখোঁজের সন্ধানে অভিযান চলছে।”