• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পাবনায় শিমুল হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
পাবনায় শিমুল হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

পাবনায় ইসলামি জালসায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী শিমুল মালিথা (২১) হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজশাহী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো সদর উপজেলার চরঘোষপুর গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে আকাশ সর্দার (২৮) ও একই গ্রামের হেলাল সরদারের ছেলে সাব্বির সর্দার (২৫)।

এ নিয়ে এই হত্যা মামলায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে ৬ ডিসেম্বর রাতে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

র‍্যাব-১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব সদস্যরা।

গ্রেপ্তার দুইজনের মধ্যে আকাশ সর্দার ওই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই নাম্বার আসামি এবং সাব্বির সর্দার ৪ নাম্বার আসামি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সোমবার দুপুরে পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চরঘোষপুর সরদারপাড়া এলাকায় ইসলামি জলসার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় শিমুল মালিথাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত ১১টার দিকে মারা যান।

নিহত শিমুল মালিথা চরঘোষপুর গ্রামের শাহীন মালিথার ছেলে। তিনি সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, শিমুল হত্যার ঘটনায় তার বাবা শাহীন মালিথা বাদী হয়ে রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৬ ডিসেম্বর রাতেই তিনজনকে আটক করে। তারা হলো, চরঘোষপুর সরদারপাড়া গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে খলিল সর্দার (৫৫), একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে শান্ত হোসেন (২৫) ও রহিম উদ্দিনের ছেলে মিঠু হোসেন (৩০)। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

Link copied!