সাভারে রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর আজ। নিহতদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে রানা প্লাজায় নিহতের স্বজন,আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে থেকেই সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের রানা প্লাজার সামনে অস্থানী স্মৃতিস্তম্বে ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করে নিহতের স্বজন,আহত শ্রমিক,বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
এ সময় উপস্থিত শ্রমিকরা সরকার ও কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে। তারা বলেন, রানা প্লাজার জায়গা ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে আহত-নিহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের পুর্নবাসন করতে হবে। এখনো অনেক আহত শ্রমিক রয়েছে তাদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্থানীভাবে স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণ, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে রানা প্লাজায় নিহতের স্বজন ও আহতরা রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার অবিলম্বে দৃষ্টান্তরমূলক শাস্তির দাবি করেন। এদিন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি না দেখে শ্রমিক নেতারা হতাশার কথা জানান।
অন্যদিকে রানা প্লাজায় নিহত আঁখি আক্তারের মা নাসিমা বেগম জানায়, রানা প্লাজায় ধসে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।এছাড়াও অনেকের মৃত্যু ও পঙ্গু হয়েছে রানা প্লাজার কারণে। তাই রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
রানা প্লাজার অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্বে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ ট্রেড শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শহীদ বেদীরক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ রানা প্লাজায় আহত ও নিহতের স্বজন এবং বিভিন্ন কারখানার পোশাক শ্রমিক।