• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সেতু ধসে যাতায়াত বন্ধ, দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
সেতু ধসে যাতায়াত বন্ধ, দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে রহমতখালী খালের ওপর সেতু ধসে পড়ায় পাঁচ দিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ পাঁচটি গ্রামের লাখ লাখ মানুষ।

রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে হঠাৎ পানির তীব্র স্রোতে সেতুটি ধসে পড়ে। এতে সেদিন থেকে চন্দ্রগঞ্জ-চরশাহী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় স্থানীয় কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৪০ বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন কলেজসংলগ্ন সেতুটি নির্মাণ করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ ফুট ও প্রস্থ ১০ ফুট। শেখপুর, রাজাপুর, রামকৃষ্ণপুর, চরশাহী ইউনিয়ন হয়ে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কের সঙ্গে এসব এলাকার অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থীসহ লক্ষাধিক মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত ছিল এই সেতু দিয়ে।

কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ প্রিয়ব্রত চৌধুরী বলেন, “গত সোমবার (১১ নভেম্বর) কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সেতু ধসে পড়ায় পরীক্ষাসহ শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সেতু পার হয়ে কলেজে আসতে হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা না হলে শিক্ষার্থীদের কলেজে আসা-যাওয়া বন্ধ থাকবে।”

চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, “সেতুটি অনেকটাই নড়বড়ে ছিল। মেরামতের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগে জানানো হয়েছে। ভেঙে যাওয়ার কারণে সেতু দিয়ে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।”

স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের অনেক খাল–বিলের পানি এখনো পুরোপুরি নামেনি। ওই সব জলাশয় থেকে পানি নামছে রহমতখালী খাল দিয়ে। এ কারণে খালে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। ওই স্রোতেই সেতুটি ধসে পড়েছে।

সেতুর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করা স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল, মমিন উল্যাহ, কুলসুম বেগম বলেন, সেতুটি দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করেন। ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শত শত গাড়ি এখান দিয়ে চলাচল করে। সেতুটি ভেঙে চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন।

কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল ও সালমা আক্তার বলেন, “সেতু ধসে পড়ায় আমাদের পরীক্ষাসহ শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমরা দ্রুত কতৃপক্ষের কাছে এটির সমাধান চাই।”

লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, “সেতু ভেঙে পড়া ও দেবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রহমতখালী খালে তীব্র স্রোতে সেতুটি ধসে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ওই স্থানে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন সেতু নির্মাণ ও বিকল্প সেতুর ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”

Link copied!