ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার (১৪ জুন) ভোর থেকেই কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে সদর উপজেলার শহর বাইপাস আশেকপুর এলাকা পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়। আবার কোথাও কোথাও ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করে।
এদিকে, পশুবাহী ট্রাক যানজট ছাড়াই ঢাকার দিকে যাচ্ছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সরেজমিন মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই ব্যক্তিগত যানবাহন, মোটরসাইকেল ও খোলা ট্রাকে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। গাড়ির ধীরগতি ও শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বেশি ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন।
পুলিশ ও চালকরা জানান, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, কয়েকটি ছোটখাটো দুর্ঘটনা ও চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাকচালক মোতালেব মিয়া বলেন, করটিয়া থেকে শহর বাইপাস আশেকপুর এলাকায় ১০ মিনিটের রাস্তায় আসতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে কতক্ষণ সময় লাগবে তা জানি না।
খোলা ট্রাকে বগুড়াগামী রাব্বি মিয়া বলেন, ভোরে তিন-চার ঘণ্টার মতো গাজীপুরের চন্দ্রায় বাসের জন্য দাঁড়ানো ছিলাম। কোনো গাড়িতে উঠতে না পারায় বাধ্য হয়ে খোলা ট্রাকে বাড়ি ফিরছি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে, গরমও লাগছে। কখন যে বাড়ি পৌঁছাব বলতে পারছি না।
রাবিয়া আক্তার বলেন, করটিয়া থেকে রাবনা বাইপাস আসতে সময় লেগেছে দেড় ঘন্টা। এক বছরের শিশু মেয়েকে নিয়ে খোলা ট্রাকে করে বাড়ি যাচ্ছি। আবার বৃষ্টিতে ভিজে গেছি মেয়ে ও আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাজেদুর রহমান বলেন, ভোর ৬টার দিকে কালিহাতী উপজেলার পৌলীতে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর উল্টে যায়। এ সময় মহাসড়কে দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। জেলা পুলিশের রেকার দিয়ে উল্টে পড়া ট্রাকটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে দুই পাশে শতশত যানবাহন এলোপাথারিভাবে রাখাতে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচলের বিঘ্ন ঘটে। এ ছাড়াও শত শত গাড়ি সার্ভিস লেন দিয়ে ঢুকে পড়ে এতে দুই পাশের রাস্তা আটকে যায়।
তিনি আরও বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক চেষ্টার পর বেলা ১০ টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।