• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কক্সবাজারে পর্যটকদের মৃত্যুফাঁদ ‘রেন্ট বাইক সার্ভিস’


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
কক্সবাজারে পর্যটকদের মৃত্যুফাঁদ ‘রেন্ট বাইক সার্ভিস’

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রতিদিন বেড়াতে আসেন বহু পর্যটক। এসব পর্যটকদের ঘিরে বিভিন্নভাবে ব্যবসা করছেন স্থানীয়রা। এমনই একটি ব্যবসা ‘পর্যটকদের জন্য রেন্ট বাইক সার্ভিস’। তবে সামান্য দুর্ঘটনার কারণে মোটরসাইকেলের কোনো ক্ষতি হলে পর্যটকদের জিম্মি করে রাখা হয় অতিরিক্ত টাকা। এছাড়া নানাভাবে লাঞ্ছনা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন অনেক পর্যটক।

কলাতলী ডলফিন মোড়, সুগন্ধা পয়েন্টে ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের বেশ কিছু স্থানে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল ভাড়া দেওয়া হয়। এসব মোটরসাইকেল ঘণ্টাপ্রতি ভাড়া নেওয়া হয় ২০০-৩০০ টাকা। পর্যটকরা সমুদ্রে বেড়াতে এসে অনেকে শখের বসে, অনেকে আবার শেখার জন্য এসব জায়গা থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে থাকেন। তবে এতে এভাবে মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি। হেলমেটবিহীন অপরিচিত জায়গায় এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন পর্যটকরা। অনেকে প্রাণ হারাচ্ছেন, অনেকে আবার পঙ্গুত্ব বরণ করে নিচ্ছেন আজীবনের জন্য।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ‘রেন্ট বাইক সার্ভিসের’ কারণে গত এক বছরে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। বিশেষ করে স্থানীয় তরুণ-তরুণী ও পর্যটকরা এসব মোটরসাইকেল বাইক ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করেন। নিরিবিলি সড়ক হিসেবে তারা মেরিন ড্রাইভ বেছে নেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদ আনোয়ার বলেন, “অবৈধ রেন্ট বাইক ব্যবসা বন্ধ করা উচিত। এই বাইকের কারণে শতশত তরুণ-তরুণী অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।”

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক গিয়াস উদ্দিন বলেন, “মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে মেরিন ড্রাইভ ঘুরতে গিয়ে পড়ে যাই। এতে মোটরসাইকেলের সামান্য ক্ষতি হওয়ায় আমাকে জরিমানা গুণতে হয়েছে দ্বিগুণ টাকা। এছাড়া এখানে এসে যেমনটি বুঝলাম, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে পর্যটকদের জিম্মি করে তারা টাকা আদায় করে।”

পর্যটক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই রেন্ট বাইক সার্ভিসের কারণে প্রতিনিয়ত প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এসব রেন্ট বাইক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এই বিষয়ে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

বিআরটিএ কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক উথোয়াইনু চৌধুরী বলেন, কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যায় না। রেন্ট বাইক সার্ভিসের নামে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ভাড়া দেওয়া অবৈধ। আমরা এর আগেও বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছি এবং জরিমানাও করেছি। তবে অভিযান শেষ হলে আবার শুরু করে। এই বিষয়ে আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।”

কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “রেন্ট বাইক ব্যবসায়ীদের হেলমেট পরিধান ও লাইসেন্সের বিষয়ে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Link copied!