লক্ষ্মীপুরে মলম পার্টি অপবাদ দিয়ে ঢাকার কেমব্রিজ স্কলার্স স্কুলের শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবুকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের লাহারকান্দি এলাকার মৃত লকিয়ত উল্যাহর ছেলে ও ঢাকার কেমব্রিজ স্কলার্স স্কুলের শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর আইয়ুব আলীর পুল এলাকায় তিনি ছোট ভাই মাসুদের বাড়িতে দাওয়াতে যান। ফেরার পথে সুমন, সাইমন হোসেন, অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিন আলো, মমিন উল্যাহ, সুমনসহ কয়েকজন আক্তার হোসেনকে মলম পার্টি অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এরপর তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে তাকে জনসমক্ষে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন।
এদিকে শিক্ষককে বৈদ্যুতিক খুঁটিয়ে বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, মলম পার্টি বলে পেঁচা সুমন নামে এক যুবক লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি শিক্ষক আক্তারের পায়ে আঘাত করছেন। একই সঙ্গে সুমন বলছেন “তোদের কারণে কত মাইনষে কাঁদে “ এ সময় শিক্ষক আক্তার আল্লাহকে ডেকে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। শিক্ষক আক্তারকে পেটাতে ব্যবহার করা লাঠিও ভেঙে কয়েক ভাগ হয়ে যায়।
শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু বলেন, “ওই দিন আমার সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে তারা খুঁটির সঙ্গে বেঁধে আমাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমি ওই বখাটেদের বিচার চাই।”
আক্তারের ভাই মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, “আমার ভাইকে মলম পার্টি আখ্যা দিয়ে যারা নির্যাতন করেছে, তারাই প্রকৃত মলম পার্টি।”