রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের প্রতিবাদে খুলনায় মশাল মিছিল করেছেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে খুলনার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে নগরীতে এ মশাল মিছিল বের করা হয়।
এ সময় মিছিলে অংশ নিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট), নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজি এবং সরকারি ব্রজলাল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মশাল মিছিল শেষে শিববাড়ী মোড়ে শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে শোকসভার আয়োজন করা হয়, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আজ আমরা সবার উদ্দেশে একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ৫২ এবং ৭১-এর চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য আমরা ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান করিনি। আমরা ছাত্র-জনতা ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান করেছি, রাষ্ট্র থেকে সমস্ত বৈষম্যকে উৎপাটনের জন্য। তবে কোনও অবস্থাতেই ৫২ এবং ৭১-এর চেতনাকে জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না। স্বাধীন দেশে জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন মানে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে।
গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। সেই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে সেই অনুষ্ঠানের ব্যাপারে মন্তব্য চেয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফেসুবক পোস্টে দলটি লিখেছে, বাংলাদেশে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন, তা-ও জাতীয় প্রেসক্লাবে! আপনার মন্তব্য কী? সেখানে অনেকে এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।