• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজ টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩, ১১:১৫ এএম
আজ টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস
বধ্যভূমি, টাঙ্গাইল। ছবি : সংগৃহীত

আজ ১১ ডিসেম্বর সোমবার, টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস। টাঙ্গাইলের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার সূর্যসেনারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইলকে মুক্ত করে উত্তোলন করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

দিনটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, “হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে পৌরসভার উদ্যোগে সকালে মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে নিয়ে পৌর উদ্যান থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি, বিকেলে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরুতেই ‘টাঙ্গাইল জেলা স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ’ গঠন করা হয়। চলতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। ২৬ মার্চ থেকে গ্রামে গ্রামে যুবকরা সংগঠিত হয়। ৩ এপ্রিল মির্জাপুরের গোড়ান-সাটিয়াচড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবরোধ ভেঙে হানাদারবাহিনী টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করে। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ স্থানে চলে যান। অল্পদিনের মধ্যেই সেদিনের তরুণ-যুবক ছাত্রলীগ নেতা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ‘কাদেরিয়া বাহিনী’। শুরু হয় বিভিন্নস্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ।

কাদেরিয়া বাহিনীতে প্রায় ১৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও অর্ধলাখেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ১১ নম্বর বিশেষ সেক্টরে নিয়োজিত ছিলেন। তারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্যকে হত্যা করেন।

এছাড়া নাগরপুরের খন্দকার আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে গঠিত বাতেন বাহিনীও অনেক জায়গায় হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

টাঙ্গাইলে মুক্তিযুদ্ধে প্রধান ভূমিকা পালন করে কাদেরিয়া বাহিনী। চারদিক থেকে তাদের আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়েন পাকসেনারা। ১০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল শহরের অদূরে কালিহাতীর পৌলি এবং এর আশপাশের এলাকায় মিত্রবাহিনীর ছত্রীসেনা অবতরণ করায় হানাদারদের মনোবল একেবারেই ভেঙে পড়ে। ১১ ডিসেম্বর ভোর থেকে বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে থাকে। টাঙ্গাইল শহর শত্রুমুক্ত হয়। মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শহর। 

Link copied!