• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আজ সেই ভয়াল ১৩ মে


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম
আজ সেই ভয়াল ১৩ মে

দেখতে দেখতে কেটে গেছে ২৭ বছর। এত বছর পরও টাঙ্গাইলের মানুষ ভুলতে পারেনি ভয়াল ১৩ মের টর্নেডোর সেই তাণ্ডবের স্মৃতি। দিনটি টাঙ্গাইলবাসীর জন্য শোক ও আতঙ্কের। এখনো ঘুমের ঘোরে আঁতকে ওঠেন জেলার পাঁচ উপজেলার মানুষ।  

১৯৯৬ সালের ১৩ মে ছিল সোমবার। বিকেল ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে আকস্মিকভাবে গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রাম থেকে শুরু হওয়া প্রায় পাঁচ মিনিট স্থায়ী প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় (টর্নেডো) আলমনগর ইউনিয়ন হয়ে মির্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নুঠুরচর গ্রামে হানা দেয়। মাত্র দুই মিনিটের ছোবলে গোপালপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে যায়। নিহত হন ১০৪ নারী-পুরুষ। এছাড়া ৪ হাজারের বেশি গ্রামবাসী আহত হন ও ১০ হাজার গৃহপালিত পশুপাখি মারা যায়।

ওই দিনই বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কালিহাতী উপজেলার তাঁতসমৃদ্ধ এলাকা রামপুর-কুকরাইল গ্রামে টর্নেডো আঘাত হানে। রামপুর ও কুকরাইল গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়। ওই দুই গ্রামের একই পরিবারের ৭ জনসহ ১০৫ জন নারী-পুরুষ নিহত হন। আহত হন চার শতাধিক মানুষ। রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে গণকবরে দাফন করা হয় ৭৭ জনের মরদেহ।

টাঙ্গাইলের ৪০টি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সেদিনের টর্নেডোর আঘাতে মারা যায় অসংখ্য গবাদিপশু, দুমড়েমুচড়ে যায় ঘরবাড়ি। সেই পাঁচ মিনিটের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় (টর্নেডো) টাঙ্গাইল জেলার সবকিছু ধ্বংস করে দেয়। ওই সময় বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সংগঠন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এগিয়ে আসেন। সেদিনের টর্নেডোর আঘাতে অনেকেই পঙ্গুত্বকে বরণ করে বেঁচে আছেন আজও।

Link copied!