• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
ঘূর্ণিঝড় রেমাল

লোকালয়ে ঢুকছে জোয়ারের পানি


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
লোকালয়ে ঢুকছে জোয়ারের পানি

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সাতক্ষীরার উপকূলবর্তী শ্যামনগরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (২৬ মে) রাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাস সোমবারও অব্যাহত রয়েছে। তবে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমায় স্থানীয়দের আতঙ্ক কমতে শুরু করেছে।

এদিকে শ্যামনগর ঘিরে থাকা ১২৯ কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোথাও ভাঙন বা ধসের সৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি। তবে রোববার রাত ১টার দিকে নদীতে প্রবল জোয়ারের সময় ৫ নম্বর পোল্ডারের নেবুবুনিয়া, নাপিতখালী, হরিশখালী এবং সোরা এলাকায় বাঁধ ছাপিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রোববার রাতে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, রাতের জোয়ারের সময় প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে মাদিয়া এলাকায় বাঁধের বাইরের অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। একইভাবে পূর্ব দুর্গাবটি এলাকায় বাঁধের প্রায় ২০০ ফুট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

কৈখালীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদীর তীরবর্তী নৈকাটী ও পশ্চিম কৈখালীর কয়েকটি অংশের বাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোথাও ভাঙন বা ধসের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৪৫টির মতো পরিবারের ছোট কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।

ভুরুলিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু বলেন, এখন পর্যন্ত এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব প্রড়েনি। তবে গাছ-গাছালি উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝড়ের কারণে আগের দিনই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঝড় কমলে রুটগুলো পরীক্ষার পর আবারও সংযোগ চালু করা হবে।

শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজবুল আলম বলেন, রোববার বিকেল থেকে বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। পানিতে কিছু চিংড়ির ঘের ও কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। 

Link copied!