লালমনিরহােটে দরপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জেলা কমিটি বিলুপ্তসহ তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিস্কৃত তিন নেতা হলেন লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোমিনুল ইসলাম মমিন ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জানা যায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পথ্য সামগ্রী সরবরাহসহ ৩টি গ্রুপে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. আব্দুল মোকাদ্দেম। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের নিদিষ্ট দরবক্সে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়।
হাসপাতালের দরপত্র জমাদানে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দরপত্রবক্স ও হাসপাতাল চত্ত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকাল থেকে অন্যদের দরপত্র জমা দিতে বাধা দিয়ে আসছিলেন লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস। এ সময় তার বিরুদ্ধে দরপত্র গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষকেও লাঞ্চিত করারও অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা এসে ধাওয়া দিয়ে সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে যুবদল নেতা জুলহাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এলে ২৪ জন দরদাতা তাদের দরপত্র জমা দেন। এদিকে ওইদিন বিকেলেই মুচলেকা নিয়ে জুলহাসকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, দরপত্র দাখিল নিয়ে হট্টগোল করার চেষ্টা করলে জুলহাস নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে কেউ অভিযোগ না করায় বিকেলেই তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।