• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
তুলে নিয়ে টাকা দাবি

তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৩, ০৯:০২ এএম
তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

লক্ষ্মীপুরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ধরে এনে থানায় নির্যাতন ও ছাড়িয়ে নিতে টাকা দাবির অভিযোগে পুলিশের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফকে এ মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল সদর আদালতের বিচারক মো. তারেক আজিজ এ নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় আদালতের বেঞ্চ সহকারী জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন, শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) জহিরুল আলম ও উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জুয়েল।

বেঞ্চ সহকারী বলেন, “নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ৫(২) ধারা এবং একই আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের নির্দেশনা জেলা পুলিশ সুপারকে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আদেশপ্রাপ্তির দুই কার্যদিবসের মধ্যে মামলার নম্বরসহ অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ কপি পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকেও অনুলিপি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।”

বাদীর আইনজীবী মোসাদ্দেক হোসেন বাবর বলেন, “বাদী দেলোয়ারা বেগমের ছেলে আরিফ হোসেন প্রতিবন্ধী। তার ছেলেকে ধরে নিয়ে অভিযুক্তরা অমানবিক নির্যাতন করেছেন। আরিফকে ফেরত নিতে গেলে ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারকে ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”

অভিযোগে দেলোয়ারা বলেন, “জমি নিয়ে খোকন প্রফেসর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে খোকন বিভিন্ন লোক দিয়ে আমার ছেলেদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। ৩ জুলাই বিকেলে আমার প্রতিবন্ধী ছেলে আরিফকে পুলিশের এসআই জুয়েল ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর থানায় নিয়ে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়। তাকে ফেরত আনতে হলে ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।”

সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, “মামলার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখছি।”

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, “আদালতে একটি অভিযোগ দায়েরের কথা শুনেছি। এখনো আদালতের কোনো কপি পাইনি।” 

Link copied!