জামালপুরের মেলান্দহে আলেয়া আজম উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলার অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে আলেয়া আজম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, চর বানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের মধ্যেরচর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে আশরাফুল আলম (৫০), রায়ের বাকাই এলাকার আলম খানের ছেলে আরিফ হাসান (৩৫) ও মধ্যেরচর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে বাবুল (২৫)। আশরাফুল আলম ও আরিফ হাসান চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও দুলাল মিয়া একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশীদের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করে ও অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও দেন আন্দোলনকারীরা। এর পর থেকে বিদ্যালয় অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ। গতকাল রোববার প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অফিস করতে যান। সেনা সদস্যরা অফিসের তালা ভেঙে প্রধান শিক্ষকে অফিসে নিয়ে যান। সেনাবাহিনীর সদস্যরা চলে গেলে কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের কক্ষের দিকে আবারও এগিয়ে যান। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সেখান থেকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান বলেন, “প্রধান শিক্ষক কয়েকদিন থেকে অনুপস্থিত। অফিস কক্ষ তালা লাগানো ছিল। সেনাবাহিনীর সদস্যরা তালা ভেঙে স্যারকে অফিসে দিয়ে যান। সেনাবাহিনী চলে গেলে কিছু লোক আবার বিদ্যালয়ে আসে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে আটক করে পুলিশের কাছে দেয়।”
প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, “আমি কিছুদিন ছুটিতে ছিলাম। আজ স্কুলে গেলে আমাকে কেয়েকজন হামলা করতে আসে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে আটক করে পুলিশের কাছে দিয়েছে।”
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাজু আহাম্মদ বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে দিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।