অস্বস্তিকর গরমের পর টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টি ঝরছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। কখনো মুষলধারে ও কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে দৈনন্দিন রোজগার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পঞ্চগড় জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই ঝরছে মুষলধারার বৃষ্টি। টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টির কারণে দৈনন্দিন রোজগার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। দিনমজুর, ভ্যানচালক, চা শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষগুলো বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে পারছেন না। অনেকে প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আবার পেটের দায়ে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জীবিকার গন্তব্যে ছুটছেন।
সরেজমিনে সকালে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ঘুরে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম লক্ষ্য করা গেছে। প্রয়োজনে অনেকেই ছাতা নিয়ে চলাচল করছেন। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া, বজ্রপাত না থাকলেও কখনও হালকা মাঝারি ও মুষলধারায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
পঞ্চগড় সিনেমা হলের সামনে জয়গুন বেগম নামে একজন নারী শ্রমিক বলেন, এই বৃষ্টির মধ্যে মার্কেটে আসলাম কিন্তু কাজ পাইলাম না। দুই দিন ধরে কোন কাজ নাই তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।
জয়গুনের মতো অনেকেই সকাল সকাল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে বের হয়েছিলেন। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে কাজ না পেয়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে শ্রমিকদের।
এদিকে রিকশা চালক আব্দুর রহিম বলেন, একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি অন্যদিকে শুক্রবার তাই রাস্তায় যাত্রী কম। কোনো মতে গাড়ির জমা উঠছে৷
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত তিন দিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ মিলিমিটার ও বুধবার ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কমেছে। এ বৃষ্টিপাতে তাপমাত্রা কমে শীতের আমেজ শুরু হচ্ছে।