চুয়াডাঙ্গায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘ফলে পুষ্টি অর্থ বেশ, স্মার্ট কৃষির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে তিন দিনব্যাপী ফল মেলা ২০২৪ শুরু হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র পরিসরে এ মেলায় মাত্র চারটি স্টল বসেছে। এর মধ্যে তিনটি ফলের।
সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা খামার বাড়ি প্রাঙ্গণে মেলাটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
মেলা উপলক্ষে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, “দেশীয় ফল এই মেলায় রাখা হয়েছে। আমাদের ছোট সোনামণিদের অনেকেই ডেউয়া, করমচা, চালতা ফল দেখিনি। স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া জন্য প্রেস ক্লাবের সভাপতি মহোদয় বলেছেন, আমার সেটির প্রস্তাব করেছি। তরুণ এবং শিশুদের দেখার যে সুযোগ কৃষি দপ্তর করে দিয়েছে, সে জন্য তাদের ধন্যবাদ।”
ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোমরেজ আলী ও কায়সার ইকবাল, কৃষি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পাহলোয়ান প্রমুখ।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গার জেলার চার উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলা কৃষি দপ্তর এ মেলায় অংশ নিলেও আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি দপ্তরের স্টল নেই। মেলায় সদর উপজেলা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস এবং জেলা হর্টিকালচার সেন্টার অংশ নিয়েছে। জেলা হর্টিকালচার সেন্টারের স্টলে ফল নেই। সেখানে শুধু গাছের চারা। এ ছাড়াও, মেলায় অংশ নেওয়া বাকি তিনটি স্টলে দেশি ফলের কমবেশি উপস্থিতি থাকলেও বেশির ভাগই কেনার সুযোগ নেই।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, দেশি ফলের প্রচার তুলে ধরতে এ মেলা আয়োজন। যারা এখানে অংশ নিয়েছেন তাদের ঠিকানা দেওয়া হবে। এখান থেকে ফল কিনতেও পারবেন। ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায়, এবং পরিচর্যাসহ সবকিছুই জানার সুযোগ এই মেলাতে আছে।
উল্লেখ্য, মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের মধ্যে ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ ও খামার বাড়ি প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক একটি ফলজ বৃক্ষ রোপণ করেন।