• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পলো বাওয়া উৎসবে হাজারও মানুষের ঢল


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
পলো বাওয়া উৎসবে হাজারও মানুষের ঢল

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ‘পলো বাওয়া উৎসব’। আগে এই উৎসব সচরাচর দেখা গেলেও বর্তমানে তা খুব একটা দেখা যায় না। ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের কাইজার কোলে অনুষ্ঠিত হয়েছে পলো উৎসব।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ৭টায় ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের কাইজার কোলে পলো উৎসবের আয়োজন করেন স্থানীয়রা। হাজারও মানুষ অংশ নেন এ উৎসবে। পলো দিয়ে মাছ ধরা দেখতে কোলের পাশের চারপাশের রাস্তায় অবস্থান নেয় বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সূর্যোদয়ের আগেই হাজারও মানুষের ঢল নামে কাইজার কোলে। কারও হাতে পলো, কারও হাতে জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ। দূর দূরান্ত থেকে পলো হাতে আনন্দ ফুর্তি করতে করতে মাছ ধরার উৎসবে এসেছেন নানা বয়সী মানুষ।

মাছ ধরতে আসা আবুল বাশার বলেন, “গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ছোটো বেলায় পলো দিয়ে মাছ ধরতাম। বহু বছর পর পলো নিয়ে মাছ ধরতে এসেছি। মাছ না পেলেও অনেক আনন্দ করতে পেরেছি।”

সাইদুর রহমান নামে একজন বলেন, “মাইকিং শুনে এখানে এসেছি। অনেক মানুষ এসেছে মাছ ধরতে, খুবই ভালো লাগছে। অনেকদিন এভাবে মাছ ধরিনি। প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করা হলে ভালো হবে।”

মাছ ধরা দেখতে এসেছেন গৃহবধূ বৃষ্টি আক্তার বলেন, “ছোটো বেলায় কখনো পলো দিয়ে মাছ ধরতে দেখিনি, জীবনে প্রথমবারের মতো পলো দিয়ে অনেক মানুষের মাছ ধরা দেখতে পেলাম। খুবই ভালো লেগেছে।”

মাছ ধরতে আসা মজিবুর রহমান বলেন, “মাছ ধরার কথা শুনতে পেয়ে গতকাল পলো কিনেছি। এই উৎসবের কারণে পলো একটু দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। ২০০ টাকার পলো ৪০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। তারপরও ভালো লেগেছে, অনেকদিন পর এমন উৎসবে যোগ দিতে পেরে।”

পলো উৎসবের আয়োজক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, “গত দুই দিন যাবত পলো উৎসবের মাইকিং করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া এমন উৎসবে যোগ দিয়েছেন হাজারও মানুষ। এই কোলে কারেন্ট জাল, ভেসাল দিয়ে মাছ মারা হতো। প্রশাসন এটা বন্ধ করায় আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছি। হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই আয়োজন। প্রতিবছর যাতে এ ধরনের আয়োজন করতে পারি, সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!