ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আব্দুল ওহাব মাতুব্বর (৭৩) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। এঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ফরিদপুর ভাঙ্গার আলেখারকান্দা এলাকার মৃত রাজ্জাক কাজীর ছেলে আল-আমিন কাজী (৪০), সদরপুর উপজেলার চরব্রাহ্মণদী এলাকার আব্দুল কাইয়ূম হাওলাদারের ছেলে অভি হাওলাদার (২৪), একই উপজেলার হাজেরিয়া হাজিরকান্দি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান (২০)।
পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল জলিল বলেন, “সম্প্রতি ভাঙ্গার তুজারপুর এলাকায় এক চিকিৎসকের বাড়িতে চুরি করতে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র। এসময় ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল ওহাব মাতুব্বর চোরদের দেখে ফেলেন। পরে ওহাব মাতুব্বরকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে রেখে যায় চোরেরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
এসপি জলিল বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে আরও একটি চুরির মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি (বুধবার) ফরিদপুরের ভাঙ্গার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা এলাকার এক চিকিৎসকের বাড়ি থেকে নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল ওহাব মাতুব্বরের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার দুদিন পর ১০ জানুয়ারি ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।