রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও মোতায়েন থাকবে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া সবগুলো ভোটকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও সিসিটিভি ক্যামেরায় মনিটরিংয়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন এ বিষয় নিশ্চিত করেন।
আবদুল বাতেন বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রোববার রাত ৮টা থেকে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সব ধরনের নির্বাচনী মাইকিং প্রচার প্রচারণা মধ্যরাত বন্ধ করা হবে। এছাড়া রাত ১২টার পর থেকে ২৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত রসিক এলাকায় মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত যানবাহন ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, “এবার ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৮৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এর বাহিরে পুরো রসিক এলাকায় ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। আর টহল টিমের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।”
এবার রসিক ভোট ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আবদুল বাতেন বলেন, “প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ভোটদানের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে সব ওয়ার্ডে মকভোটিংসহ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এ জন্য সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটার ছাড়া অন্য কেউ ভোট কক্ষের গোপন বুথে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রবেশ করলেই সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
রংপুর সিটিতে তৃতীয়বারের মতো সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ মেয়র পদে ৯ ও ৩৩টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর (মহিলা) পদে ৬৭ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।