ঢাকা ১৭ আসনে উপনির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটারের চেয়ে এজেন্ট বেশি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে খুলনায় অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। ইসির নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দেশে চরম রাজনৈতিক সংকট চলছে।”
তিনি বলেন, “ঢাকা ১৭ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে আসেনি। কেন্দ্রে ভোটারের চেয়ে এজেন্ট বেশি ছিল। এরপরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা হয়েছে। তাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে।”
তরুণদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তারুণ্যের সমাবেশ আমাদের আশা জোগায়। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে সুসংগঠিত করে অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তা না হলে শুধু ভোট নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না। বিএনপির গন্ধ থাকলে আজ চাকরি দেওয়া হয় না। এ সরকার মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিয়েছে। কথা বললেই হত্যা-গুম করা হচ্ছে। এটা সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন।”
তিনি বলেন, “আগামীর বাংলাদেশ হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বপ্নের বাংলাদেশ, যেখানে থাকবে মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা।”
সমাবেশের যুবদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “এ সরকার অবৈধ হওয়ায় তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। জনগণের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন করে এ সরকার টিকে থাকতে চায়। চার কোটি ৭০ লাখ তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে। এ সরকার পালানোর জায়গা পাবে না।”
তরুণ ভোটারদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য দাবিতে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএম মুসা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।