কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও। তবে এর বাইরেও ভিন্ন কিছু জিনিস পাওয়া গেছে এবার।
কথিত আছে, পাগলা মসজিদে দানের মাধ্যমে মন থেকে কিছু চাইলে সে আশা পূরণ হয়। সেই বিশ্বাসে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে এখানে দান করার পাশাপাশি চিঠিও লেখেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) দানকাক্সের টাকা গণনার সময় এমন অনেকগুলো চিঠি পাওয়া গেল। একটি চিঠি প্রেমিকাকে পেতে এক প্রেমিকের আকুতির। হবিগঞ্জ জেলার সেই যুবক চিঠিতে লিখেছেন, “আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি, কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন।”
এক মা সন্তানের সুস্থতার আকুতি জানিয়ে চিঠিতে লিখেছেন, “হে আল্লাহ, তুমি আমার মেয়েকে সুস্থ করে দাও। বসার তৌফিক দাও। হাঁটার তৌফিক দাও। তুমি তার চোখের সমস্যা, মাথার সমস্যা দূর করে দাও। হে আল্লাহ, তোমার কাছে আমি আমার মেয়ের জন্য ভিক্ষা চাই, আর পাঁচটা শিশুর মতো আমার বাচ্চাটা যেন সুস্থ থাকে।” আরেক নারী আল্লাহর কাছে চাঁদের মতো ফুটফুটে সন্তানের আকুতি জানিয়েছেন।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে পাগলা মসজিদে এবার ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল দানসিন্দুকগুলো। তখন ২৩ বস্তার মধ্যে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।