লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) স্থানীয় প্রকৌশলী নজীর হোসেনকে প্রায় ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শ্রমিকেরা।
করোনাকালীন বিশেষ প্রকল্প প্রভাতীর শ্রমিক মজুরী দীর্ঘ ১ বছরেও না পাওয়ায় রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উপজেলা প্রকৌশলী নজীর হোসেনের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকেরা।
এ সময় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই প্রকৌশলী। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর দাবি তিনি ৬ মাস আগে বিল তৈরি করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রেরণ করলেও তা এখনো অনুমোদন হয়নি।
এলজিইডি ও শ্রমিকেরা জানান, করোনাকালীন শ্রমিকদের জন্য ‘প্রভাতী’ নামক একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী, গড্ডিমারী ও বড়খাতা ইউনিয়নে ১৫০ জন শ্রমিক কাজের সুযোগ পান। তারা নিয়মিত কাজ করেন এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১ বছরেও মজুরি পায়নি শ্রমিকেরা। আজ-কাল বলে টালবাহানা করে আসছে স্থানীয় এলজিইডি অফিস।
এ ঘটনায় রোববার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের শ্রমিকেরা তাদের মজুরির দাবিতে হাতীবান্ধা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী নজীর হোসেনের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ওই প্রকৌশলী।
এ বিষয়ে নজীর হোসেন বলেন, “৬ মাস আগে বিল তৈরি করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রেরণ করলেও তা এখনো অনুমোদন হয়নি। এখানে আমার কিছুই করার নেই।”
লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদের ইসলাম বলেন, “আগামী মঙ্গলবার কাজ পরিদর্শন করে হিসাব-নিকাশ শেষে শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করা হবে।”
গত ৬ মাসে বিশেষ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন কেন করলেন না এবং বিল দিতে এত দেরি কেন এমন প্রশ্নে উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান মঞ্জুর কাদের ইসলাম।