আর কয়েকদিন পর কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে দিনাজপুরের বাজারগুলোতে বেড়েছে মসলার দাম।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে জেলার বাহাদুর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মসলার বাজারকে সবচেয়ে বেশি অস্থির করে তুলেছে জিরা। সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যের কেজিতে দাম বেড়েছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। শুধু তাই নয়, মাসের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি মসলার দামে এসেছে পরিবর্তন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা দরে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৯৩০ থেকে ৯৫০ টাকায়। অপরদিকে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় লবঙ্গের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।একইভাবে গত সপ্তাহে ১১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া এলাচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এছাড়া গোলমরিচ, দারুচিনি, ছোট এলাচসহ সব ধরনের মসলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোমিন নামের এক মসলা বিক্রেতা বলেন, “মসলার বাজারে এবার কাস্টমার (ক্রেতা) কম। অন্যান্য বছর কোরবানির আগে বাজারে ভিড় থাকত। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। কোরবানি এলে জিরা, ছোট ও বড় এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ এগুলোই সাধারণত বেশি বিক্রি হয়। তবে এবার সরবরাহ কম থাকায় মসলার দাম একটু বেশি।”
আবু হানিফা নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমদানি কম হওয়ায় এবার মসলার বাজার দর বেশি। এ জন্য ক্রেতারা অল্প করে কিনছেন। কোরবানির ঈদে যেমন বিক্রি হওয়ার কথা, তেমন হচ্ছে না। বাজারে ক্রেতার সমাগম কম।”
হোসেন আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, “ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে যাচ্ছে জিনিসপত্রে দাম শুনে। বিশেষ করে মসলার বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়। জীবনযাত্রা একেবারে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। আগে যা দাম ছিল তার থেকে দ্বিগুন বেড়েছে। যেকোনো পার্বণেই বাজারে এই অবস্থা হয়। আজকে বাজারে গরম মসলা, জিরা কিনতে আসছি। দাম বেড়ে যাওয়ায় অল্প অল্প করে কিনতে হচ্ছে। আমরা সত্যি ভালো নেই। আমার মনে হয় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সরকারের কোনো লোকই নেই।”
মাহমুদুল হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “মসলার বাজার দর আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে। আমি অনেকদিন পর পর মসলা কিনি। এই বাজার দর বৃদ্ধির কারণ কী আমি জানি না। কোরবানির ঈদে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হলো মসলা। আমি মনে করি বাজারে সুষ্ঠু মনিটরিং করা উচিত।”