কয়েকদিন ধরে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পাওয়া তিস্তা নদীর পানি গত ২৪ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমতে শুরু করছে।
শনিবার (২২ জুন) দুপুর ১২টা তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে বিকেল ৩টায় তিস্তার পানি আরও কমে ৬০ সেমি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে এখনো অনেক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এদিকে পানি কমলেও এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই পরিবারগুলোকে। চলাচলের রাস্তাঘাটগুলো কাদা ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে পানি কমায় ভাঙনও দেখা দিয়েছে অনেক এলাকায়। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদীর পানি কমছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল আনন্দ বাজার ও বাগডোরা এলাকা এবং জেলার আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা গোবর্ধন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ পরিবার গত ৫ দিন থেকে পানিবন্দি থাকার পর শনিবার অনেক ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। তবে পানি কমে যাওয়ায় তলিয়ে যাওয়া চলাচলের কর্দমাক্ত রাস্তাগুলোতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।
তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকার বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য ফসলি জমি পানিতে ডুবে যায়। তবে ডুবে যাওয়া ফসলি জমিতে পানি স্থায়ী না হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তিস্তার পানি অনেকটা কমতে শুরু করেছে।