নওগাঁর বাজারগুলোতে সবধরণের চালের দাম বেড়েছে। বাজারে মোটা ও চিকন দুই ধরণের চালই কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
তরিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, “দিন দিন সবকিছুর দামই বাড়ছে। এখন তো আমরা বাড়তি দামের মধ্যেই আছে। এরপর আজ আবার বাজারে এসে দেখি সবধরণের চালের দাম বেড়েছে। যে যার খুশি মতো দাম বাড়াচ্ছে। না খেয়ে তো আর পারবো না। আমরা সাধারণ মানুষ শুধু সহ্য করে যাচ্ছি।”
বেসরকারি চাকরিজীবী নিলুফা পারভীন বলেন, “আমরা যারা চাকরি করি, তারা তো একটা নির্দিষ্ট বেতন পাই। সবকিছুর দাম বাড়তি। ব্যবসায়ীরা সবাই এক হয়ে চালের দাম বাড়ান। কারো না কারো কাছ থেকে তো আমরা কিনি। ঘুরে ফিরে লাভটা ব্যবসায়ীদেরই হয়।”
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিল থেকে বাজারে কম পরিমাণে চাল ছাড়া হচ্ছে। তাই বাজারে চাল কম থাকায় দাম একটু বেশি। অপর দিকে মিল মালিকরা বলছেন, এ বছর বেশি দাম দিয়ে ধান কিনতে হয়েছে। তাছাড়া শ্রমিকদের বেতন, পরিবহন খরচ সবকিছুই বাড়তি, তাই চালের দামও একটু বেশি।”
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে নওগাঁর পাইকারি মোকামে সবধরণের চালের দাম বস্তাপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন মিল মালিকরা। ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এক সপ্তাহ আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি মোটা চাল এখন ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিকন চাল ৭০ থেকে ৭৩ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
নূর আলম মিয়া নামের এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, “চালের দাম বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমাদের কী করার আছে? পাইকাররা দাম বাড়ালে আমাদেরও বাড়াতে হয়।”
সরেজমিনের জানা যায়, নওগাঁর বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি মণ স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ২ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ চালের মণ ২ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে নাজিরশাইলের দাম ছিল ৩ হাজার ৪০০ টাকা, বর্তমানে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৫০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে শম্পা কাটারির মণ ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৭০০ টাকা দাঁড়িয়েছে। গুটি স্বর্ণার মণ ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকা ও পারিজা চালের দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়।