বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে নিহত হন সাব্বির হোসেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তার মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। জানা যায়, ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের এক মাসের মাথায় আদালতের নির্দেশে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
সদর উপজেলার সমসেরাবাদ এলাকায় লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশে অবস্থিত মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদের কবরস্থান থেকে সাব্বিরের মরদেহ তোলা হয়। পরে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সাব্বির সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ও দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে গিয়ে লক্ষ্মীপুরের মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় সাব্বিরসহ চারজন শিক্ষার্থী মারা যান।
এ সময় সাব্বিরের মা ও স্বজনদের আহাজারিতে পুরো এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। শোকে নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার বাবা আমির হোসেন। মা মায়া বেগম বারবার চেষ্টা করেছেন ছেলের মুখ দেখার, কিন্তু সুযোগ হয়নি।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তাদের তত্ত্বাবধানেই ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আবার দাফন করা হবে।