• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কক্সবাজারে আসছে রেল, জনমনে উচ্ছ্বাস


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম
কক্সবাজারে আসছে রেল, জনমনে উচ্ছ্বাস

বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ঘিরে এ জেলায় গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। দেশি-বিদেশি বহু পর্যটকে মুখরিত থাকে এ নগরী। কিন্তু কক্সবাজার জেলার সঙ্গে এতদিন দেশের বাকি অংশের ছিল না রেল যোগাযোগ। অবশেষে সেই অপেক্ষার পালা ফুরোচ্ছে। সেপ্টেম্বরে শেষ সপ্তাহে কক্সবাজার রেল স্টেশন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মধ্যে দিয়ে পর্যটন রাজধানীখ্যাত জেলাটি রেলপথেও যুক্ত হয়ে যাবে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে।

কক্সবাজার সদর থেকে ৭ কিলোমিটার পূর্ব উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজি পাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেল স্টেশন। স্টেশনের ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয় তলা ভবনটির বিভিন্ন অংশের অবকাঠামো নির্মাণ শেষে চলছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ। স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার গাড়ি পার্কিং ইত্যাদি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাইজুল ইসলাম বলেন, “আমাদের এই রেল স্টেশনটি প্রস্তুত। আমরা এখন সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করছি। ফিনিশিংয়ের কাজও চলছে। আশা করছি সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইকনিক রেল স্টেশনটির শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে।”

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “পর্যটকরা এখানে ব্যাগ রেখে সমুদ্রসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন। আমাদের এখানে আবাসিক হোটেল আছে এবং রেস্টুরেন্ট আছে।”

ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, এই রেল লাইন চালু হলে পর্যটনের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেও আসবে আমূল পরিবর্তন। পাশাপাশি স্বল্প সময়ে ও কম খরচে কৃষি পণ্য, মাছ ও লবণ পরিবহন করা যাবে। এতে কক্সবাজারের পর্যটনসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

কক্সবাজার জেলা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন বলেন, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের আরও সম্প্রসারণ এবং পর্যটকের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায় সূচিত হবে। পাশাপাশি সময় ও অর্থ দুইটি সাশ্রয় হবে। বিশেষ করে পর্যটনসহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক বেশি প্রসারিত হবে।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, “আমাদের ট্যুরিজম সেক্টরটি ডেভেলপ হবে। পাশাপাশি আমাদের এখানে উৎপাদিত পণ্য যেগুলো পরিবহনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তার সমাধান হবে। সব কিছু মিলিয়ে ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Link copied!