একদিনের ব্যবধানে ফের যশোরের বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ৪১০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে দেখা যায়। এর দুদিন আগে মরিচের কেজি ৬০০ টাকা উঠেছিল। ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় সোমবার (৩ জুলাই) কেজিতে সাড়ে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে ভারতীয় আমদানি কাঁচা মরিচ সরবরাহ কম ছিল। আবার চাষিরাও আমদানি মরিচের ভয়ে বাজারে তোলেননি। ফলে মোকামে মরিচ সংকট ছিল। এ সুযোগে ফের দাম বাড়ানো হয়েছে।
যশোর বড়বাজার, রেল বাজার ও চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ড কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক গতিতে। লাগাম টানার জন্য সরকার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। আমদানি কাঁচা মরিচ বাজারে এলেও নাগালে আসেনি দাম। মঙ্গলবার সকালে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৪১০ টাকা প্রতি কেজি।
বিকেলে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের ঝাল বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা। কেউ কেউ আরও কম দামে বিক্রি করেছেন। এ ধরনের কাঁচা মরিচ কেজিতে অর্ধেকের মতো পচা বলে কোনো কোনো বিক্রেতা জানিয়েছেন।
বাজার করতে আসা তৌফিক হোসেন নামের এক চাকরিজীবী বলেন, “মরিচের দাম কমছে আবার বাড়ছে। বাজার তদারকির কেউ নেই। সংবাদে দেখলাম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫৬ টাকা দরে মরিচ আমদানি করেছে। সেই মরিচ যশোরের বাজারে ৪১০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা মরিচের দাম কারসাজি করে ইচ্ছামতো বাড়াচ্ছে।”
পৌর শহরের বেজপাড়া এলাকা থেকে বাজার করতে আসা কল্যাণী সাহা বলেন, “কোনো কিছুর দাম স্বাভাবিক নেই। এর মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। আগের ৪০-৫০ টাকায় এক কেজি মরিচ কিনতাম। এখন সেই টাকায় আড়াইশ গ্রাম মরিচও হচ্ছে না। কি করব এটা তো জরুরি পণ্য। দাম বাড়লেও কিনতে হচ্ছে।”
বড় বাজারের নিতাই গৌরি ভান্ডারের বাগান চন্দ্র সাহা বলেন, “টানা দুসপ্তাহ অস্থিরতার পর সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। সেই মোতাবেক রোববার বিকেলে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে কাঁচা মরিচ। খুলনার একাধিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সোমবার সকালেই যশোরের চারটি আড়তে কাঁচা মরিচ দিয়ে যায়। এরপর দাম কমে আসে ২৪০ টাকায়। এরপর আর মরিচ আসেনি। এছাড়া ফরিদপুরের মধুপুরের মরিচও দাম বেড়েছে। তাই আবার মরিচের দাম বেড়েছে।”