কুড়িগ্রামে শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। জেলাটিতে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। এতে করে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
কনকনে শীত ও ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার চরাঞ্চলের কৃষক ও খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা। এ অবস্থায় ঠান্ডায় ঠিকমত মাঠে কাজ করতে পারছেন না। এতে ব্যাহত হচ্ছে এখানকার জীবনযাপন। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুগুলোও ঠান্ডায় ভুগছে। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন ঠান্ডাজনিত রোগে।
শহরে ঘন কুয়াশার কারণে দেরি করে ছাড়ছে ট্রেন ও নৌযানগুলো। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে বাস, ট্রাকসহ সড়কপথের যানবাহন।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলতি পাড়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক শাহেব আলী বলেন, “এতো ঠান্ডায় মানুষ তো বিছানা থেকে উঠে নাই, আর আমরা কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছি। এই ঠান্ডায় কাজ করতে একদমে মন চায় না।”
ওই এলাকার মিনা বলেন, “বুধবার থেকে খুবই ঠান্ডা পড়ছে। ঠান্ডায় বাহির হওয়া যাচ্ছে না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি।”
একই ইউনিয়নের চর ইয়ুথনেটের বাসিন্দা নাদু শেখ বলেন, “বাবারে এই ঠান্ডাত কট্টি যামো কাম করবের, ঠান্ডাতে হাত-পাও শিষ্টা নাগছে।”
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, “আমার ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল। শীতে এখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে। এখানে কম করে হলেও ৫-৬ হাজার দুঃস্থ ও অসহায় লোকজন আছেন। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ৭০০ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা বিতরণ করা হয়েছে।”
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুক্রবার থেকে এ তাপমাত্রা আরও কমে ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।