সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মসজিদ সংস্কারের জন্য মাটি কাটছিলেন শ্রমিকরা। এসময় মাটির নিচ থেকে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো একটি মরদেহ পাওয়া যায়। আট বছর ৬ মাস আগের দাফন করা মরদেহটি এখনো অক্ষত।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ছোটকুপট (যোগিন্দ্রনগর) মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল গণি। তিনি ওই গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন গাজীর ছেলে।
আব্দুল গণির ছেলে আবু সুফিয়ান বলেন, “২০১৬ সালের ৭ মার্চ আমার বাবা মারা যান। সেসময় মসজিদের পাশেই বাবাকে কবর দিই। কিছুদিন আগে মসজিদটি সংস্কার করার জন্য মসজিদের পাশে থাকা বাবার কবরসহ আরও একটি কবর স্থানান্তরের প্রস্তাব দেয় মসজিদ কমিটি। তাতে আমরা সম্মতি দিয়েছি। আজ সকালে কবর খুঁড়লে সেখানে থাকা বাবার কবরের ভেতরে মরদেহটি অক্ষত দেখতে পাই। পরে ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন করে কবর খুঁড়ে জানাজা ছাড়াই দাফন করা হয়েছে।” আব্দুল গণি ইসলামি অনুশাসন মেনে চলতেন বলেও জানান তার ছেলে।
স্থানীয় হাম্মাদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মাউসুফ সিদ্দিকী বলেন, “আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় মারা যান, তাদের তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত এবং কবরে আল্লাহ তাদের রিজিক দেন’। তাই এটি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়।”