• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩০, ২১ শা'বান ১৪৪৬

রাজাকার বলে গালি দেওয়ার দিন শেষ: আজহারী


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম
রাজাকার বলে গালি দেওয়ার দিন শেষ: আজহারী
ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, ধৈর্যশীল নারী ও পুরুষকে আল্লাহ পছন্দ করেন। বিপদ এলে ধৈর্যের সঙ্গে সবর করতে হবে। বিপদে ধৈর্যধারণ করতে হবে। আমাদের গালি দেয় মৌলবাদী আর রাজাকার বলে। রাজাকার বলে গালি দেওয়ার দিন শেষ। রাজাকার শব্দটা এখন একটা অ্যাওয়ার্ড হয়ে গেছে। পরিস্থিতি পাল্টে দিতে আল্লাহর সময় লাগে না।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর সামাজিক সংগঠন আল ইসলাম ট্রাস্ট আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

আজহারী বলেন, আমরা আসল কথা বলি। আমরা মা-মাটির কথা বলি। দেশপ্রেমের কথা বলি। জনগণ ও ইসলামের কথা বলি। আমরা দেশের সমৃদ্ধির কথা বলি। এজন্য আমাদের বলা হয় মৌলবাদী। আবার আমাদের বলে ধর্মব্যবসায়ী। আমরা ধর্মের সত্যকথা প্রচার করি। দেশ ও জনগণের যেটা ভালো সেটাই বলি। এদেশের আসল পরিচয় হলো ইসলাম। যারা ইসলামের কথা বলে, যারা কুরআনের কথা বলে, এরা ধর্মব্যবসায়ী নয়।

তিনি বলেন, খবরদার আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। আলেমদের পক্ষে থাকলে জীবনকে উজালা করেন আল্লাহ। আলেমবিদ্বেষী হবেন না। তাহলে দুনিয়াও শেষ, আখিরাতও শেষ। নিজেকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবেন না। এদেশের আসল পরিচয় হলো ইসলাম। ধৈর্যই হলো আমাদের শক্তি। ধৈর্য এমন একটি গাছ, এটার ফল সুমিষ্ট। ধৈর্যধারণ করুন, ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন। ধৈর্যধারণকারীদের সাথে আল্লাহ আছেন। মোমিনরা ধৈর্যধারণ করেন বলেই সুফল অর্জন করেন।

আজহারী আরও বলেন, ইসলাম ছাড়া আমরা অন্য কিছু মানি না, মানবো না। ইসলামবিরাধী কোনো মতবাদ মানবো না। ইসলাম আছে, ইসলাম থাকবে। যারা ইসলামকে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে চায়, ওরা জানে না ইসলামের ধর্ম কী। ইসলাম চারাবীজর মতো, ইসলামকে জমিনে গেড়ে দিলে শাখা-প্রশাখার মতো আসমানের দিকে উঠে যায়।

ঈমান সফলতার মাপকাটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈমান ছাড়া নেক আমলের কোনো স্বীকৃতি নেই। যার হৃদয়ে ঈমান আছে, সেই সফল। সফল হয়েছেন যারা, ঈমান এনেছেন তারাই। ঈমান হলো সফলতার মাপকাটি।

মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, অনুগত বান্দাদের আল্লাহ ভালোবাসেন। আল্লাহর সামনে যখন দাঁড়াবেন (নামাজ) তখন আনুগত্যের সাথে দাঁড়াবেন। মিথ্যা হলো মহাপাপ। মোবাইল ফোনের কারণে মিথ্যা আরও বেড়েছে। আমাদের অনেকেই মিথ্যা বলেন। আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেন, আমাদের দেশে মিথ্যা সাক্ষ্যতে অনেকের ফাঁসিও হয়েছে। আমার নবী (স.) জীবনে একটা মিথ্যাও বলেননি। মিথ্যাবাদীদের সাপোর্ট করা যাবে না। সত্য মানুষকে পুণ্যের পথ দেখায়। মিথ্যা মানুষকে পাপের পথ দেখায়। আর পাপ মানুষকে জাহান্নামের পথ দেখায়। এক্ষেত্রে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি কোন পথে যাবেন।

হাফেজ মাওলানা নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং আয়াজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক অ্যাডভাকেট মতিউর রহমান আকন্দ, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মু. কামরুল হাসান মিলন, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সোহেল। বয়ান করে‌ন প্রখ্যাত ইসলা‌মি চিন্তা‌বিদ শাইখ শাহ ওয়া‌লী উল্লাহ, বেতার ও টেলিভিশনের তাফসিরকারক শাইখ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার।
 

Link copied!