ঢাকার ধামরাইয়ে নিখোঁজের দুই দিন পরে কামরুল হাসান (২৩) নামের এক পুলিশ সদস্যদের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নারগিস আক্তারকে (১৯) আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের কংসপট্টি এলাকার একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কামরুল হাসান ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের কংসপট্টি এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। তিনি পুলিশের উত্তরা এপিবিএন শাখায় কর্মরত ছিলেন।
স্বজনরা জানান, কয়েক দিন আগে কামরুল গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরে বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তখন কামরুল তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। সারা দিন বাসায় না ফেরায় বাড়ির লোকজন কামরুলের সন্ধান করলেও খোঁজ পায়নি। পরে শুক্রবার সকালে ডোবাতে বস্তাবন্দী অবস্থায় কামরুলের মরদেহ ভেসে ওঠে। এসময় প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় অর্ধগলিত ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে ওই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। বস্তার ভেতরে হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।