অবশেষে নতুন ঘর পেলেন রাস্তার পাশে খুপড়ির মধ্যে বসবাস করা বৃদ্ধা রানু বেগম। গত ৪ মার্চ ‘তিন বছর ধরে খুপড়ির মধ্যে রানুর বসবাস, জানেন না চেয়ারম্যান’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘সংবাদ প্রকাশ’। এরপর বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ অনেকের।
প্রতিবেদনটি দেখার পর রানু বেগমের সঙ্গে দেখা করতে যান শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম। সেসময় রানু বেগমকে নতুন ঘর উপহার দেবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি। অবশেষে ঈদের আগেই সেই ঘর পেলেন রানু বেগম।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের পূর্ব নলতা এলাকার লাকুরিয়া বাড়ি কান্দি গ্রামের বাসিন্দা রানু বেগম। নতুন ঘর পেয়ে সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, “এক সময় রাস্তার ধারে কলাগাছের মধ্যে খুপড়িতে থাকতাম, অনেক কষ্ট হতো। খুপড়ি ঘরে সাপের ভয় ছিল। বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপা হয়ে গেছি, শীতে একটা কাঁথা গায় দিয়া রাইত পাড় করছি। সাংবাদিকরা আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পরে এমপি সাহেব নিজে আমাকে দেখতে আসছে। তিনি আমাকে নতুন ঘর করে দিয়েছে। নতুন ঘরে ঈদ করতে পারব। এমপি সাহেবকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তার জন্য আমি দোয়া করি।”
রানু বেগমের ভাই নূর হক ছৈয়াল সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এমপি সাহেব ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার পর আমার বোনের জন্য তিনি ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন। এমপি সাহেবের জন্য আমরা দোয়া করি।”
এব্যাপারে শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, রানু বেগমের সংবাদটি দেখে আমি তাকে দেখতে যাই। ঈদের আগে রানু বেগমের জন্য আমার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘বেগম আশ্রাফুন নেছা ফাউন্ডেশনের’ পক্ষ থেকে নতুন ঘর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ঈদের আগেই আমরা রানু বেগমকে নতুন ঘরটি উপহার দিতে পেরেছি। আমি সব সময় তার পাশে থাকব।”