ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোরের রুপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে একটি উচ্চগতি সম্পন্ন পরীক্ষামূলক ট্রেন। শনিবার সকাল ৮ টা ৪১ মিনিটে ভাঙ্গা জংশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে যশোর পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র এক ঘণ্টা। ট্রেন চলাচলের সময় রেললাইনের ওপর জনসাধারণের চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে। ট্রেনটির চালক হিসেবে রয়েছেন মো. সাখাওয়াত হোসেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গার রেলস্টেশন মাস্টার মো. জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৮.৪১মিনিটে উচ্চ গতি সম্পন্ন এই পরীক্ষামূলক ট্রেনটি যশোরের রুপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরদিন (৩১ মার্চ) সকালে আবার রুপদিয়া রেল স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। আবার যশোর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। এভাবে কয়েকবার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করবে।
এর আগে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচলের সময় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকাবাসী ও এলাকায় চলাচলকারী সর্বসাধারণ পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ, মানসিক প্রতিবন্ধী (যদি থাকে) এবং গৃহপালিত প্রাণীগুলোকে নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। নতুন রেললাইন চালু হওয়ার সংবাদে রেল লাইনের আশে-পাশের মানুষের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-যশোর রেলপথের ভাঙ্গা পর্যন্ত ইতিমধ্যে ট্রেন চলাচল করছে। প্রকল্পের শেষ অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর। এই অংশের দৈর্ঘ্য ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। প্রকল্পটি শেষের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। মাঠপর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০১৬ সালের ৩ মে একনেকে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ নামে এটির অনুমোদন হয়।