ঈদে দেশের বৃহত্তর সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে। প্রতিদিনই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থী আসছেন এখানে।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা ব্যারাজে যেন মানুষের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন উপায়ে মানুষ এখানে আসছেন। কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ অটোরিকশায়, কেউবা মাইক্রোবাসে করে এখানে আসছেন। তিস্তার ভাটিতে নৌকা আর স্পিডবোটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। ব্যারাজের ওপর মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে ব্যস্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষ। ব্যারাজের দুই পাড়ে হরেক রকমের পসরা নিয়ে বসেছে অস্থায়ী দোকান।
নীলফামারী জেলার ডিমলা এলাকা থেকে আসা মাইনুল ইসলাম বলেন, “আমরা কয়েকজন বন্ধু তিস্তা ব্যারাজে ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। প্রতি ঈদে আমরা এখানে ছুটে আসি আনন্দ উপভোগ করতে।”
কলেজছাত্রী রেশমা আকতার বলেন, “বোন-ভাগনি মিলে তিস্তা ব্যারাজে ঘুরতে এসেছি। এসে দেখলাম আগের চেয়ে পরিবেশ অনেক ভালো ও নিরাপদ।”
খুলনা থেকে আসা মিথুন দেব বলেন, “প্রথমবারের মতো তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। উত্তরবঙ্গে এই ব্রিজটি দেখার মতো। এখানে এসে আমরা আনন্দিত। নদীতে স্পিডবোট ও নৌকায় ঘুরেছি, বেশ ভালো লেগেছে।”
হাতীবান্ধা থানার দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক দিপ্ত কুমার বলেন, “প্রতিবছর পরিবার-পরিজন নিয়ে তিস্তা ব্যারাজে আনন্দ উপভোগ করতে আসেন দর্শনার্থীরা। তিস্তা ব্যারাজের পুরো এলাকায় আনসার ও পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন।”
এদিকে লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার মানুষের মেলবন্ধনে মহিপুর-কাকিনা পয়েন্টে নবনির্মিত শেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতুতেও ছুটছেন হাজারো মানুষ। এখানে আসা সিংহভাগই তরুণ-তরুণী। বাবা-মায়ের হাত ধরে এসেছে শিশুরাও। সদর উপজেলার ধরলা সতুতেও দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
অপর দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় দেশের বহুল আলোচিত তিন বিঘা করিডর এলাকায়ও ঘুরতে আসছেন দর্শনার্থীরা। তিন বিঘা করিডর এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পাহারা জোরদার করেছে।