• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে মিলল কিশোরের মরদেহ


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে মিলল কিশোরের মরদেহ

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

নিহত মো. রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো. ইউনূসের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিল। তিনি তার সৎমা রুনা আক্তারের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করত। 

নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় তার অটোরিকশাটি ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। 

৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েলসহ (২৬) অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে স্থানীয়রা তার সঙ্গে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। 

এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলোমেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬ দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।        

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎমা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভুক্তভোগীকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পর পরই ভুক্তভোগীর মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা করা হয়। তারা ভুক্তভোগীর মোবাইল ব্যবহার করছিল।  

ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, সকালে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা এসে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পায়। 

Link copied!