সবার অজান্তেই মাস তিনেক আগে এক বিধবার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক কিশোরের। নানাভাবে কথাবার্তা চলতে থাকে এক সন্তানের জননী ওই বিধবার সঙ্গে। বয়স কম হওয়ায় কেউ সন্দেহ করেনি।
এই সুযোগে কিশোরটা সেই বিধবার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। এতে সম্পর্ক আর গভীর হতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতের বেলায় সেই বিধবার কাছে যেতে শুরু করে কিশোর প্রেমিক। এক কান দুই কান করে ঘটনা জানাজানি হয়।
কিশোরটির নাম মাছুম মিয়া। সে ময়মনসিংহের নান্দইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের বেতাগৈর গ্রামের মোমিন মিয়ার ছেলে। আর বিধবাটি নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ে।
গত শনিবার (৮ জুন) রাতে তাদের অসম প্রেমে বাধা হয়ে আসে এক অপ্রীতিকর ঘটনা। সন্ধ্যায় বিধবার বাড়িতে কিশোর মাছুম মিয়া গোপনে দেখা করতে আসে। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবক রাত ৮টার দিকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে।
রাতভর ঘরে আটকে রেখে পরদিন রোববার (৯ জুন) সারা দিন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয়। দিন কেটে যাওয়ার পর মধ্যরাতে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বিধবা নারীর সঙ্গে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে ওই কিশোরের বিয়ে সম্পন্ন হয়। রাতেই কিশোরের সঙ্গে বিধবা নারীকে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে কিশোরের সঙ্গে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহরের বিষয়টি কিশোরের পরিবার কোনো কিছুতেই মানতে পারছে না। তাদের অভিযোগ ছেলেটিকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।