অবশেষে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি হওয়া জাহাজ ও ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর দুই নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু ও মোহাম্মদ ছালেহ রয়েছেন। মুক্ত হওয়ার খবরে তাদের পরিবারের শস্তি ফিরেছে। এখন প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন স্বজনরা।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) এবং চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)।
এবার ঈদের ছুটিতে রাজুর বাড়িতে এসে বিয়ে করা কথা ছিল। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে নতুন ঘরের কাজও চলছিল।
রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক বলেন, “দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করায় আমরা কৃতজ্ঞ।
এদিকে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিল উপজেলার নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবেন। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় সব। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ ছালেহ আহমেদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার। অবশেষে স্বামীর মুক্তির খবরে যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন তিনি।
ছালেহ আহমদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, “সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে বাংলাদেশী ২৩ নাবিকের মুক্তিতে আমাদের সকলের পরিবারের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। শঙ্কা কেটে গিয়ে আনন্দ বিরাজ করছে সবার মাঝে। তবে এখনো নাবিক পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের নিয়ে উৎকন্ঠা প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন।”