সরকারি প্রাইমারি স্কুলের বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে নিজ বাসায় অবৈধ সংযোগ নিয়েছেন শিক্ষিকা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পরমালী বড়ভিটা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক রওশনার বেগমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। একাধিকবার বারণ করেও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক ও স্থানীয়রা।
জানা যায়, রওশনারা বেগম কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পরমালী বড়ভিটা গ্রামের মো. রাকিব হাসানের স্ত্রী। তাদের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল (১৪ হাজার টাকা) বকেয়া থাকায় সংযোগ কেটে দেয় বিদ্যুৎ অফিস। তার স্বামী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি হওয়ায় বিদ্যালয়ের সংযোগ থেকেই নিজ বাড়িতে অবৈধ সংযোগ নেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মইনুল হোসেন বলেন, “অবৈধভাবে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া অপরাধ। একজন সহকারী শিক্ষক কিভাবে নিজ বাড়িতে স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিদ্যুত ব্যবহার করেন। শিক্ষক যদি এমন আইন বিরোধী কাজ করেন তাহলে স্কুলের বাচ্চাদের কি শিক্ষা দিবেন।”
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা রওশনারা বেগম বলেন, “আমি বিদ্যুৎ অফিসকে জানিয়েছি, নতুন মিটার পেলে স্কুলের বিদ্যুৎ আর ব্যবহার করবো না।”
বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মো. আজাদ হোসেন বলেন, “শিক্ষিকার বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ অফিস লাইন কেটে দিয়েছে। এছাড়া ওই শিক্ষিকার স্বামী জমিদাতা ও সাবেক সভাপতি থাকায় জোড় করে আমাদের না জানিয়ে বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ নেন। তিন দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ না কাটলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমি মানবিক কারণে দু’একদিনের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। পরে অনেকবার ওই শিক্ষিকাকে সংযোগ বন্ধ করতে বলেছি। কিন্তু আজ কাল করে অজুহাত দেখিয়ে যাচ্ছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার মোস্তফা কামাল বলেন, “বিষয়টি জানা ছিল না। আমরা যত দ্রুত সম্ভব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ব্যবস্থা নেব।”
এ বিষয়ে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমি একজন অভিভাবকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”