• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ছাত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন শিক্ষক


খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ০২:২৩ পিএম
ছাত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন শিক্ষক
জেলার মানচিত্র

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে শিক্ষকের মারধরে গুরুতর আহত হয়েছে সুজনা আক্তার (১৫) নামের এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে।

আহত সুজনা আক্তার উপজেলার লোগাং ইউপির লোগাং বাজার এলাকার মো. হোসেনের মেয়ে। সে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আশাধন চাকমা। তিনি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ঘটনাটি রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটলেও সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় আজ সোমবার সকালে তা জানাজানি হয়।

জানা গেছে, পানছড়ি উপজেলার লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশাধন চাকমা দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস নিতে  আসেন। পাঠদানের এক পর্যায়ে সুজনা আক্তারকে পড়া ধরলে সে তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারেনি। এ সময় স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে তার নাকে-গালে সজোরে থাপ্পড় মারেন। এতে সুজনার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়।

সুজনা আক্তারের মা কুলছুমা বিবি বলেন, ”আশাধন স্যার আমার মেয়ের নাকে-গালে অনেক গুলো থাপ্পড় দিয়েছে। যার কারণে তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়েছে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির চাকমা বলেন, “ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে  ঘটে গেছে। থাপ্পড়ে আহত ছাত্রী আমার কাছে বিচার নিয়ে এলে আমি তার অভিভাবকের সামনে শিক্ষককে ডেকে সতর্ক করি। ছাত্রীর চিকিৎসায় যত খরচ হবে তা শিক্ষক বহন করবে। এ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কী দরকার?”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আশাধন চাকমা বলেন, “ক্লাসে আমি বাংলা দ্বিতীয় পত্র পড়াচ্ছিলাম। তখন ছাত্রীটি ক্লাসে মনোযোগী ছিল না। এতে আমি একটু ক্ষিপ্ত ছিলাম। পরে তাকে একটা পড়া ধরি, সে না পারায় আমি তাকে একটা থাপ্পড় মারি। পরে দেখি তার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এমনটা হবে আমি বুঝতে পারিনি “

আহত শিক্ষার্থী সুজনা আক্তার বলে, “স্যার আমাকে একটা পড়া ধরেন। পড়াটা আমি পারি কিন্তু মুখ দিয়ে বের হচ্ছিলো না। তখন আমার নাকে-মুখে এবং মাথায় অনেকগুলো থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে আমার নাক ফেটে রক্ত বের হয়। আমি নাকের ব্যথায় কথা বলতে পারছি না।”

এ বিষয়ে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মৌমিতা দাশ বলেন, মেয়েটি ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। এ নিয়ে আজকে বিদ্যালয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। ভিকটিম চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।

Link copied!