ফেসবুকে জামায়াত আমিরের বক্তব্যের সমালোচনা করায় খুলনার কয়রা উপজেলায় মো. হুমায়ুন বিশ্বাস নামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে মারধর করেছেন স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। রোববার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান লন্ডন সফরকালে আওয়ামী লীগকে নিয়ে মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যের জের ধরে কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন বিশ্বাস তার ফেসবুক জামায়াত আমিরের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন।
তার সমালোচনার বিষয়টি স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীদের দৃষ্টিগোচর হয়। শিক্ষক হুমায়ুন বিশ্বাসের পোস্টের নিচে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকেন। এরপর ওই শিক্ষক পোস্টটি ডিলিট করে দেন। একই সঙ্গে এ ধরনের পোস্টের জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
রোববার রাতে স্থানীয় কয়েকজন জামায়াতের নেতাকর্মী তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বেদকাশীর কাছারিবাড়িতে নিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে মারধর করেন। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইলটি ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ওই শিক্ষকের পরিবারের একাধিক সদস্য জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ভুক্তভোগী শিক্ষক হুমায়ুন বিশ্বাস বলেন, “গতকাল রাত ৮টার দিকে আমাকে ফোন করে ইউনিয়ন কার্যালয়ে ডাক দেয় উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সুজাউদ্দিন। তবে ব্যস্ততা থাকায় আমি যেতে পারিনি। এরপর আমাকে জামায়াত নেতা ইউনিয়নের সেক্রেটারি এনামুল, যুবনেতা আরিফুল, জামিল, সোহাগ মোটরসাইকেলে এসে বাড়ির সামনে থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের সাথে যেতে না চাইলে আমাকে মারধর করে এবং আমার ফোনটি ভেঙে ফেলে।”
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল্লাহ মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “তাকে মারধর করা হয়নি। তাকে ডেকে এনে পোস্টের বিষয়ে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। তিনি রাজি না হওয়ায় বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”