শাসন করায় বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে মারধর করেছে ছাত্র ও তার অভিভাবকরা। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষক হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে আরও এক শিক্ষক ও ৩ কর্মচারী আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হিজলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস হিজলবাড়ি বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, দশম শ্রেণির ছাত্র পিতাশ হালদার স্কুল ড্রেস না পড়ে বিদ্যালয়ে আসলে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস তাকে শাসন করেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে পিতাশ হালদার বিদ্যালয় ত্যাগ করে বাড়িতে চলে যায়। বিদ্যালয় ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্র পিতাশ ও তার অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদেরও মারধর করেন।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী শিক্ষক উত্তম অধিকারী, ল্যাব অপারেটর সুদেপ অধিকারী, কর্মচারী জয় সেন ও বুলেট দত্তকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক স্বপন রায় বলেন, “একজন প্রধান শিক্ষক ছাত্রকে শাসন করায় এভাবে মারধরের শিকার হলেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
এদিকে অভিযুক্ত ছাত্র পিতাশ হালদারের বাবা পঙ্কশ হালদার বলেন, “এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। পিতাশের বাবা হিসেবে আমি শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চাই।”
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ অন্যান্যদের খোঁজখবর নিয়েছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”