চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে তারমিন খাতুনের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে তৌফিকের। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারমিন খাতুনের স্বামী তৌফিক যৌতুকের দাবিতে তারমিনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
একপর্যায়ে তারমিন খাতুনের স্বামী যৌতুকের দাবিতে তার সন্তানসহ বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে তারমিন খাতুন তার স্বামী-সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
বুধবার (৩১ আগস্ট) পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তার কার্যালয়ে অবস্থিত উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে তারমিন খাতুন ও মো. তৌফিক সব বিবাদ ভুলে তাদের একমাত্র ছেলেসন্তান তানভীরকে নিয়ে সংসার করতে সম্মত হন।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “জেলা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট সেন্টার কাজ করে যাচ্ছে পারিবারিক বিচ্ছেদ ঠেকাতে। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া-দ্বন্দ্ব যেন আদালত পর্যন্ত না গড়ায়। বিশেষ করে সংসারে ভুল বোঝাবুঝিতে মা-বাবার বিচ্ছেদের কারণে কোনো সন্তান যেন এতিম না হয়। পুলিশের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এই মানবিক কাজগুলো জেলা পুলিশ করে যাবে।”