ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৫ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন ভোরে ফরিদপুরের ভাঙ্গার আজিমনগর এলাকায় ঢাকার এন্টি টেররিজম ইউনিট ও ফরিদপুর জেলা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পাতরাইল বাগবাড়ী দিঘীরপাড় এলাকার লিকু মাতুব্বরের ছেলে সাকিল মাতুব্বর ওরফে শাকিব (২৭), একই এলাকার মৃত আ. রশিদ মৃধার ছেলে শরিফুল মৃধা (৩৭), পাশের পাতরাইল দিঘিরপাড় এলাকার মৃত জয়নাল শেখের ছেলে শাওন শেখ (২০), একই উপজেলার মধ্য পাতরাইল কবিরাজ বাড়ি এলাকার বালাম কবিরাজের ছেলে রাকিব কবিরাজ (২৫) এবং পাতরাইল উথলী তালুকদার বাড়ি এলাকার এসকেন তালুকদারের ছেলে জাকির হোসেন তালুকদার (৩৮)।
পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, “এ চক্রটি প্রতারণার শুরুতে বিভিন্ন সরকারি ভাতা, অনুদান ও শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা, মোবাইল নম্বরসহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য অনলাইন হতে সংগ্রহ করে। এরপর সরকারি ভাতা, অনুদান ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকারী দপ্তরের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের তাদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে। এরপর ওই ব্যক্তিকে তার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে প্রতারক বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে এবং জানায় যে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করলে সময় বেশি লাগবে, তবে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড যদি থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ টাকা প্রেরণ করা যাবে। তখন ভুক্তভোগীরা দ্রুত টাকা পাওয়ার আশায় তাদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নম্বরসহ গোপন তথ্য প্রদান করে। পরবর্তীতে প্রতারকরা খুব সহজেই তাদের একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম, এটিইউর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আখিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কোতয়ালী জোন) মো. রাকিবুল ইসলাম, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভাঙ্গা জোন) মোহাম্মদ মামুনুর রশীদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।