উপকূলীয় জেলা বরগুনায় লাভজনক হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এ বছর ৮৭৬ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। দাম ভালো থাকায় উপকূল অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
চলতি বছর বরগুনায় মিষ্টি আলু হেক্টরপ্রতি ফলন ২০ মেট্রিক টন, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। একদিকে ফলন ভালো, অন্যদিকে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ উৎসাহ নিয়ে মিষ্টি আলু চাষ করছেন।
সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের মজিদ মোল্লা বলেন, মিষ্টি আলু কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। এই মৌসুমে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা ধরে। এ বছর দাম ভালো থাকায় আগামীতে এলাকার অন্য কৃষকরা মিষ্টি আলু চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বরগুনা মাঝের চরের চাষিরা বলেন, “কয়েক বছর ধরে মিষ্টি আলু চাষে লাভবান হচ্ছি আমরা। মিষ্টি আলু চাষে বাড়তি তেমন কোনো খরচ দরকার হয় না। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী মাঝের চরে অধিক অংশ জায়গায় স্থানীয় জাতের মিষ্টি আলু চাষ করি আমরা।”
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরগুনার কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু সৈয়দ জোবায়দুল আলম বলেন, এ বছর মিষ্টি আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০৫০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে মাত্র ৮৭৫ হেক্টরে। হেক্টর প্রতি ফরম হয়েছে ২০ মেট্রিক টন। আগামী বছরগুলোতে আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগ কৃষকদের সঙ্গে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতার বিষয় মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।