জেলাভিত্তিক প্রথমবারের মতো ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক নিচ্ছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) গোপালগঞ্জ সার্কেল। এতে ভোগান্তি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিআরটিএর প্রতি আস্থা বেড়েছে লাইসেন্স-প্রত্যাশীদের।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিআরটিএ গোপালগঞ্জ সার্কেল সূত্রে জানা যায়, এখানে আসা লাইসেন্স-প্রত্যাশীদের আর দিনের পর দিন বায়োমেট্রিকের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই কার্যালয়ে পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক নেওয়া হচ্ছে।
বায়োমেট্রিক নেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে উত্তীর্ণদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। এদিন বিআরটিএ গোপালগঞ্জ কার্যালয়ে প্রার্থীকে উপস্থিত হয়ে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে।
কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে খুশি সেবাপ্রার্থীরা।
বায়োমেট্রিক দিতে আসা লিটন হাওলাদার বলেন, “আগে আমাদের বায়োমেট্রিকের জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। এখন পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক দিতে পারছি, এতে আমাদের আর মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে না। আমরা সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারব।”
শিমুল মিয়া নামের একজন বলেন, “লাইসেন্স করার বিষয়টি এখন খুব সহজ মনে হচ্ছে। এক দিনেই পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক দিতে পারছি। আবার মোবাইলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারব কবে, কীভাবে লাইসেন্স পাব। এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে এমন উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানাই।”
এ ব্যাপারে বিআরটিএ গোপালগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) লায়লাতুল মাওয়া বলেন, “আগে লাইসেন্স পেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। মাসের পর মাস বায়োমেট্রিকের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। এখন আর সেই দুর্ভোগ নেই। পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক নেওয়া হচ্ছে। এতে সেবাপ্রার্থীরা অনেক খুশি।”
লায়লাতুল মাওয়া আরও বলেন, “জেলা পর্যায়ের সার্কেলে গোপালগঞ্জেই প্রথম এই সেবা শুরু হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে একজন সেবাপ্রার্থীকেও যেন বিআরটিএ কার্যলয়ে এসে দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।”