• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সড়কের বেহাল দশায় দুর্ভোগ চরমে


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৩, ০৭:১০ পিএম
সড়কের বেহাল দশায় দুর্ভোগ চরমে

নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদী ও বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী যাওয়া-আসার প্রধান সড়ক পুরাতন হাসপাতাল রোড়। দীর্ঘদিন সড়কটি মেরামতের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে দিশাহারা পথচারিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা শহরের সঙ্গে কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, দাগনভুঞা ও ফেনী জেলার মানুষের সহজে ও কম সময়ে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। এমনকি সদর উপজেলার সঙ্গে কবিরহাট উপজেলার যাতায়াতের অন্যতম সংযোগ সড়ক। ফলে এ পথ দিয়ে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রী, চালক-যাত্রী, রোগীসহ হাজার হাজার পথচারী চলাচল করেন।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার অংশে ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। এরপরও প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স, মালবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যান ও মাইক্রোবাস চলাচল করছে। এরই মধ্যে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশে পানি জমে গেছে। পানির নিচের খানাখন্দের কারণে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নষ্ট হচ্ছে গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ। 

নেয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহাদুর বলেন, গত কয়েক বছর সংস্কার না হওয়ার কারণে সড়কটি একবারে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মহিলা কলেজসহ প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ ভাঙা সড়ক দিয়ে অনেক কষ্টে যাতায়াত করে।

বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহিন বলেন, জেলা শহরের হাসপাতালে যেতে রোগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। জনদুর্ভোগ দূর করতে রাস্তাটি অতিদ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

এলজিইডির নোয়াখালী সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর আহমেদ বলেন, “এই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।”

এ ব্যাপারে জানতে এলজিইডি’র জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হককে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Link copied!