বাংলাদেশের প্রাচীন জেলা পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেন ভারতীয়দের কাছে গৌরব ও অহংকারের। শুধু এপার-ওপার বাংলায় নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যার যশখ্যাতি ছিল আকাশতুল্য। কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নবম মহাপ্রয়াণ দিবসের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন ভারতীয় দূতাবাস রাজশাহীস্থ সহকারী হাই-কমিশনার মনোজ কুমার।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বসতভিটা পাবনা শহরের গোপালপুর হেমসাগর লেনে ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ’ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভার সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি ডা. রাম দুলাল ভৌমিক। আবৃত্তি শিল্পী আসাদ বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডক্টর নরেশ মধু।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মনোজ কুমার বলেন, “সব ধর্মের মানুষের সমন্বিত দেশ হলো বাংলাদেশ। পাবনার জমিনে মহানায়িকার জন্মে আমরা ভারতীয়রা গর্বিত। এই মাটিতে জন্ম নিয়েছেন শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রসহ অনেক নামিদামি নারী-পুরুষ। এ দেশের মেয়ে আমার দেশের মুখ আলোকিত করেছেন, খ্যাতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। এমন মহীয়সী নারী যিনি খ্যাতি ছেড়ে, ফ্লিম ছেড়ে স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন। এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে তিনি কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভারতীয় হাই-কমিশনার কার্যালয় রাজশাহীর দ্বিতীয় সচিব দীপক কুমার কাউলা, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম লাল, পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান ও বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় ভূষন রায়, পরিষদের সহসভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক আখতারুজ্জামান আখতার, কৃষিবিদ জাফর সাদেক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট পাবনার সভাপতি ফরিদুল ইসলাম খোকন, সম্পাদক দেওয়ান মাজহারুল ইসলাম, নারী নেত্রী পূর্ণিমা ইসলাম, উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক কর্মী মাযহারুল ইসলাম, পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শিশির ইসলাম প্রমুখ।